ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, ধর্ম মানুষকে সুপথ প্রদর্শন করে। তাই আন্তঃধর্ম সম্মেলনের মধ্যদিয়েই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। রবিবার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ধর্মালোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরস্বতীর মূলমন্ত্র হলো প্রবাহ। সরস্বতীকে বলা হয় জ্ঞানের দেবী, বিদ্যার দেবী, সৃষ্টিশীলতার দেবী। জ্ঞান প্রবাহমান, ঠিক স্বরস্বতীও প্রবাহমান। এটা যে অর্থে ব্যবহার করা হয় তা হলো জল। জলের যে প্রবাহ, সেই প্রবাহ যেমন থেমে থাকেনা, এই জল নিত্য প্রবাহমান ও চলমান। এই স্রোতের গন্তব্য হচ্ছে মহনার দিকে ছুটে চলা। মহনার সাথে ছুটি গিয়ে মহাসমুদ্রের সাথে একাত্ত্ব হওয়া। সুতরাং এর সাথে জ্ঞানের যে সম্পর্ক রচনা করা হয়েছে, তা জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়ের সভাপত্বি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোর্দ্দার ও ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন।
অনুষ্ঠানে ধর্মালোচক ছিলেন বাংলাদেশ শ্রীচৈতন্য ভাবনামৃত সংঘের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যক্ষ শ্রী শ্রী মহাপ্রভু বিগ্রহ মন্দির, জাহাপুর, মধুখালী ও ফরিদপুর শ্রী অপূর্ব মাধব দাস বাবাজী মহারাজ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা।
আলোচনা সভা শেষে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সনাতন ধর্মবলম্বী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর আগে সকাল ১০টায় টিএসসিসির করিডোরে বাণী অর্চণার মধ্য দিয়ে সরস্বতী পূজা শুরু হয়। পরে দেবীকে অঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে পূজা শেষ হয়। পূজা শেষে উপস্থিত দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর