চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর যোগদান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ সিনেট সদস্য। তাদের দাবি, উপাচার্য এ পদে দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মনীতি অনুসরণ করেননি। শনিবার বিকাল ৪টায় আটজন সিনেট সদস্যের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান উপাচার্য কোন ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে ৭ মার্চ নিজেকে নিয়োগ দেন। উপাচার্য কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে যোগদান করাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। খোদ ভিসির এ পদ গ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরী হয়েছে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ উভয়ের জন্য সম্মানজনক নয় বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, চবি উপাচার্য ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগের নীতিমালা এবং ১৯৭৩-এর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্টের তোয়াক্কা না করে বঙ্গবন্ধু চেয়ারে বসায় এর মর্যাদাহানি করেছেন। এছাড়া ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগের প্রধান দু’টি শর্ত উপাচার্য পূরণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ, সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন নেয়া হয়নি বলেও দাবি করা হয়। সৃষ্ট বিতর্ক নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি কামনা করেন এ আটজন সিনেট সদস্য।
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট সদস্য আছে ৫০ জন। বাকি ৪২জন সিনেট সদস্য কিন্তু বঙ্গবন্ধু চেয়ারে আমি মনোনীত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গবেষণায় জালিয়াতি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ত্রীর চাকরিচ্যুত হওয়া, ছাত্রসংগঠনের মধ্যে গ্রুপিং ও ইন্ধন, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ইন্ধনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেই এ ক'জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সিনেট সদস্যরা হলেন- প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিন, প্রফেসর ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী, প্রফেসর ড. অলক পাল, প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, প্রফেসর এস এস মনিরুল হাসান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ ও মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর