রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘যারা মনে করেন- পাকিস্তান অনেক কষ্ট করে অর্জন করা হয়েছে, যে পাকিস্তানকে ভেঙে দুই টুকরা করবেন শেখ মুজিব বা আওয়ামী লীগ, এটা মেনে নেয়া যায় না। তারাই পরবর্তীতে বিএনপির সূচনায় বিএনপিতে যোগ দিয়ে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিতে আসে।’
সোমবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিটন এসব কথা বলেন। রাবি শাখা ছাত্রলীগ এ নবীন বরণের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মেয়র আরো বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর পুনরুত্থান, জামায়াতের আমীর, এখন প্রয়াত গোলাম আজম, যাকে মাকে দেখার নাম করে বাংলাদেশে নিয়ে এসে জিয়াউর রহমান নাগরিকত্ব দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছিলেন।
পরবর্তীতে নাগরিকত্বও পেয়েছিলেন তার স্ত্রীর হাতে। এবং শুধু তাই-ই নয়, জামায়াত-শিবিরের সেই যে উত্থান, সেই নারকীয় উত্থান, আমি বলবো দানবের উত্থান, সেই বিষবৃক্ষের উত্থান বাংলাদেশে ঘটিয়েছে জিয়াউর রহমান।
স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে তিনি তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা নামটার ব্যবহার করেছিলেন, কারণ তিনি একটা ফোর্সের, স্বাধীনতা সংগ্রামের ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার কার্যক্রম রাজাকার- আলবদরের চেয়েও ঘৃণিত, জঘন্য, যেকারণে তাকে মুক্তিযোদ্ধা আর আমরা স্বীকার করি না, বলিও না, জাতিও আর কোনদিন তাকে স্বীকৃতি দেবে না।’
রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ড. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়ে নবীনদের শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জুলকার নায়েনসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দুই সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন