ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে নেতা হওয়া ও নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে তার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ করেন তারা। একইসাথে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা দলীয় টেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এসময় মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হওয়া সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবু ও তৌকির মাহফুজ মাসুদ। এছাড়াও বিক্ষেভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন, সাবেক সহ-সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, সাবেক উপ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জুবায়ের আল মাহমুদ প্রমুখ।
মিছিল শেষে রাকিবের বিচারের দাবিতে উপাচার্যের অনুপস্থিতে উপ-উপাচার্যের সাথে দেখা করেন নেতাকর্মীরা। এসময় তারা তার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এই সময়ের মধ্যে রাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন বিদ্রোহী নেতারা।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে বসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এমন কোনো কার্যক্রমের স্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রাইভার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ছাত্রলীগ সস্পদকের বিরুদ্ধে যে ড্রাইভার নিয়োগের অভিযোগ এসেছে তার প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রাইভার নিয়োগের কোনো কার্যক্রম চলছে কিনা তা পরিবহন প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের কথোপকথোনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হয়। অডিওতে ড্রাইভার নিয়োগ বাণিজ্যে ও ৪০ লাখ টাকা দিয়ে সম্পাদক হওয়ার বিষয়টি ওঠে আসে। এর আগে একই অভিযোগ এনে তাকে এবং বর্তমান কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম