ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পাসের হার ১৫.৪৯ শতাংশ, যা বিগত বছরের তুলনায় ৪.৫১ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে পাসের হার ছিল ১০.৯৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও গ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন জাকির হোসেন। জাকিরের পিতার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন ও মায়ের নাম শাহানারা আকতার। ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ১৮০.০০ নম্বর পেয়েছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫.০০ পাওয়া নৈর্ব্যক্তিকে ৭৫ এর মধ্যে ৭০.৫০ নম্বর পেয়েছেন জাকির। ৬০টি এমসিকিউ’র সবকটির উত্তর করেছেন। ভুল করেছেন মাত্র ৩টি! আর লিখিত পরীক্ষায় ৪৫ এর মধ্যে ২৯.৫০ নম্বর পেয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় হয়েছেন মারিয়া মেহেজাবিন মারিয়াম। মারিয়ার পিতার নাম মোঃ শওকত হোসেন । মায়ের নাম মাহমুদা আক্তার। ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ১৭৯.৫০ নম্বর পেয়েছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫.০০ পাওয়া তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৪৫ এর মধ্যে ৩৪.০০ পেয়েছেন। নৈর্ব্যক্তিকে পেয়েছেন ৭৫ মধ্যে ৬৫.৫০। তিনি ৫৬টি এমসিকিউর উত্তর করেছেন। এর মধ্যে ৩টি ভুল ছিল।
৩য় হয়েছেন ফামিদা জাহান নিশাদ। তার পিতার নাম এ এন আজমল খান ও মায়ের নাম দিলরুবা বেগম। ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ১৭৯.৫০ নম্বর পেয়েছেন। নিশাদও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫.০০ পেয়েছেন। তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৪৫ এর মধ্যে ২৯.০০ পেয়েছেন। নৈর্ব্যক্তিকে পেয়েছেন ৭৫ মধ্যে ৭০.৫০।
উল্লেখ্য, এ বছর ‘গ’ ইউনিটে ১২৫০টি আসনের বিপরীদে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২৯,০৫৮জন। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ২৮,১৬৯ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪,৩৬২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর একই সংখ্যক আসনের বিপরীতে ২৫,৯৫৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল ২,৮৫০ জন শিক্ষার্থী। এ হিসাবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১,৫১২ জন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ