ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে ৯ম দিনেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি। শুক্রবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ভিসি বিরোধী নানা দুর্নীতির স্লোগান আকাশ বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে।
এর আগে, বুধবার গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি’র সহকারী প্রক্টর ড. মো. নাজমুল হক পদত্যাগ করেছেন। ঐ দিন রাতে রেজিস্টার প্রফেসর ড. নুরউদ্দিন আহমেদ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে, ২১ সেপ্টেম্বর মো. হুমায়ন কবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় পদত্যাগ করেন।
এদিকে, ইউজিসি গঠিত তদন্ত টিম বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের তদন্ত কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তদন্ত টিমের সদস্যরা একাডেমিক ভবনে অবস্থান নিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর বহিরাগতদের হামলায় আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। এর আগে, গত বুধবার বিকেল ৪ টায় ইউজিসির তদন্ত টিমের আহবায়ক ড. মো. আলমগীর এর নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের টিম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, অনশন ও অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি ইউজিসি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে স্মারকলিপি পেশ এবং চোখে কালো কাপড় বেধে ভিসি’র অপসারণের এক দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ডেইলি সান পত্রিকার ক্যাম্পাস রিপোর্টার ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিস্কার ও আন্দোলনের মুখে বহিস্কারাদেশ তুলে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিরতিহীন অন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে গত শনিবার বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক