৩১ মার্চ, ২০২০ ১৯:৩২

তিন ঘণ্টায় ৯৬ জনের করোনা পরীক্ষা পদ্ধতির অনুমোদন চান চবি শিক্ষক

অনলাইন ডেস্ক

তিন ঘণ্টায় ৯৬ জনের করোনা পরীক্ষা পদ্ধতির অনুমোদন চান চবি শিক্ষক

চবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) মেশিনে প্রতি ৩ ঘন্টায় ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। 

তিনি বলছেন, সরকারের অনুমোদন পেলে এই পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গবেষণাগারেই।

বিষয়টি তুলে ধরে গত ২৫ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। স্ট্যাটাসটি দেখে অনেকেই এই পদ্ধতির অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে কষ্ট করে আর আইইডিসিআরের শরণাপন্ন হতে হবে না। দেশের প্রায় সব কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার মতো গবেষণাগার রয়েছে। যদি সরকার এটির অনুমোদন বা অনুমতি দেয় তাহলে মানুষের কষ্ট অনেকটা কমে যাবে।

তাছাড়া করোনা পরীক্ষা যদি দেশের সব জায়গায় করা যায় তাহলে কারও সন্দেহ হলে তিনি নিজেই পরীক্ষা করতে পারবেন। আর এই ভাইরাসে সংক্রমিত না হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে সহজেই চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। এর ফলে এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকরা রোগী দেখতে যে ভয় পাচ্ছেন বা রোগী না দেখতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাও কমে যাবে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাভাইরাস শণাক্তের সঠিক পরীক্ষা করা যায় রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) এর মাধ্যমে। এ মেশিনে প্রতি ৩ ঘণ্টায় ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যায়। আমরা যারা মলিকুলার বায়োলজি সম্পর্কিত গবেষণা করেছি তারা সবাই আরটি-পিসিআর মেশিনের সঙ্গে সু-পরিচিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে আরটি-পিসিআর মেশিন আছে। সরকারের অনুমতি পেলে যথাযথ নিরাপত্তা নিয়ে স্ব-স্ব ল্যাবে করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষা করে জাতির এ দুর্যোগে অবদান রাখার সুযোগ পাবো এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে বাকি সবাইকে নিরাপদ রাখা যাবে।

তিনি আরও বলেন, ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই পদ্ধতিতে কাজ করা সম্ভব। কারণ এখন পিপিইসহ গবেষকদের যে সকল জিনিস দরকার তা রয়েছে। আর যদি নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনা থাকলে তাহলে সংরক্ষিত কোন জায়গায়ও এটি করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, করোনার বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে আইইডিসিআর নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে এই পদ্ধতি ব্যবহার বা অনুমতির বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত দেবেন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর