করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলসমূহের আবাসন ও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ১৩টি ছাত্র-সংগঠনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে হলসমূহের সার্বিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের হলে না থাকা গণরুম সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্র-সংগঠনগুলো। এ ব্যাপারে হল প্রশাসনকে সসহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছে তারা।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য(শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট সংযুক্ত ছিলেন। পরে সভার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, দেশের সার্বিক কোভিড পরিস্থিতি ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আবাসিক হল খোলা ও ক্লাস কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এতদ্বিষয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে ও হলে শিক্ষার্থীদের জীবনাচার বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রণয়নের উপর সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া, ছাত্র-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত রাখার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তবে তারা সকল শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণের জন্য চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন, ডাটা প্যাকেজ ও ডিভাইস প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে মূল্যায়নযোগ্য পরীক্ষা কার্যক্রম অনলাইন কার্যক্রমের আওতায় না আনার জন্যও তারা কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ছাত্রসংগঠনের মধ্যে আছে, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রফ্রন্ট, জাসদ ছাত্রলীগ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী প্রভৃতি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল