বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক আখতার হোসেনসহ প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য-সচিব আমানুল্লাহ আমান। এসময় একজন সাংবাদিকও ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন।
আমানুল্লাহ আমান জানান, ‘জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণের কর্মসূচি ছিল। এজন্য আমরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টিএসসি'র জনতা ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিই। এ সময় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুলের নেতৃত্বে লাঠি-সোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।' হামলাকারীদের অধিকাংশই বহিরাগত বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, শাহজাহান শাওন, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, মিয়া মো. রাসেল, যুগ্ম-আহ্বায়ক, আরিফুল ইসলাম, ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম তারিক, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান খান,
মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসানসহ ২০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ছাত্রদল। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মিজানুর রহমান পিকুলকে একাধিকবার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পিকুলের নেতৃত্বে হামলার সময়ে সেখানে ছিলেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা।
ছাত্রদলের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে আমির হামজা বলেন, ‘ছাত্রদলের উপর হামলা চালানো হইছে, এটা সত্য। তারা খুনি জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ-মাহফিলসহ নানা কার্যক্রম চালাতে চেয়েছিল। আমরা যারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তা হতে দিতে পারি না। কেননা তারা খুনি জিয়াকে শহীদ জিয়া হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তার দোসরদের হামলা চালানো আমার কাছে যুক্তিযুক্তই মনে হয়।’
এদিকে, ঘটনার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা পোস্টের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আমজাদ হোসেন হৃদয়। আমজাদ বলেন, 'ছাত্রদলের ওপর হামলা শুরু হলে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় আমির হামজা আমাকে থাপ্পড় দেন। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি আমার ওপর আরও চড়াও হন।'
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আমির হামজা বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাকে সরে যেতে বলেছি। তাকে মারধর করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই সাড়া দেননি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন/এ মজুমদার