ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে গোপালগঞ্জের মেয়ে তিথি রায়ের। নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছানোয় তাকে হলে প্রবেশ করতে দেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ সময় রাগে ক্ষোভে প্রবেশপত্র ছিঁড়ে ফেলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং শেষ হয় বেলা সাড়ে ১২টায়।
তিথির মা গীতা রায় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের পর থেকে দিনরাত পড়াশোনা করেছে তিথি। শনিবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশে খুব সকালে গোপালগঞ্জ থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা হন তারা। কিন্তু বরিশাল নগরীর চৌমাথা ও সাগরদী এলাকায় দুই দফার তীব্র যানজটে আটকে পড়ায় নির্ধারিত সময়ের আগে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি তারা। ১১টা ২৫ মিনিটে কেন্দ্রের গেইটে পৌঁছালেও কর্তৃপক্ষ তার মেয়েকে হলে প্রবেশ করতে দেয়নি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিধি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তিথি রায় নামে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর অনেক পর কেন্দ্রে উপস্থিত হয়। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে জানানো হলে তারা মেয়েটিকে কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেননি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন