ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার ৬৮টি এবং দেশের অন্য সাতটি বিভাগীয় শহরের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১১টায় একযোগে সব কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের কলাভবন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এ বছর ‘খ’ ইউনিটে ২,৩৭৮ টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিলো ৪৭ হাজার ৬৩৯ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন ও অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
কারাগারে বসেই পরীক্ষা
এদিকে, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক ভর্তিচ্ছু। তার পরীক্ষা নিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ও এক কর্মচারী।
বিষয়টি নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, আমাদের কাছে একটি অনুরোধ এসেছিলো। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনজন ও কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করেছে। তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে ওই পরীক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
হলে হলে শিক্ষার্থী, দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ উপাচার্যের
আগামী ৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে গত শুক্রবার থেকে বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থী উঠে যেতে শুরু করছেন। তবে এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেছেন, শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরদাস্ত করবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
উপাচার্য আরও বলেন, হলগুলো ৫ অক্টোবর খোলা হবে এবং যেসব শর্ত আছে সেগুলো মেনে হলে উঠতে হবে। আমরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা না ভেঙে দায়িত্বশীল আচরণ করলে সব ঠিক থাকবে।
আজ শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, বঙ্গবন্ধু হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম-এসএম হল, শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হলসহ বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় বিনা বাধায় হলে উঠে যেতে পেরেছেন এসব শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, সেপ্টেম্বর মাসে সবাই মেস ছেড়ে দিয়েছে। এ মাসের মাত্র পাঁচ দিনের জন্য পুরো মাসের ভাড়া দিতে হবে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই হলে উঠতে হয়েছে তাদের।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত