দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ জানান, সভায় আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীরাও হলে চলে আসছে, তাই এখন সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইতোপূর্বে একাডেমিক কাউন্সিল প্রণীত ‘লস রিকভারী প্ল্যান’ অনুসৃত হবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ও অফলাইন সমন্বয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬০ ভাগ ক্লাস সশরীরে নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের একাধিক সেকশনে বিভক্ত করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এতে বলা হয়, ল্যাবরেটরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় কোর্সের জ্ঞানের গুণগত মান বজায় রাখার লক্ষ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এক্ষেত্রেও একাধিক সেকশন বা গ্রুপ করে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও সভায় ১৬ অক্টোবরের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর শতভাগ টিকা গ্রহণ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইন্সটিটিউটগুলোকে তদারকির করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামী ১০ অক্টোবর থেকে অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্যও হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রভোস্ট কমিটি। এরই প্রেক্ষিতে এখন সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষাও শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
বিডি-প্রতিনিধি/ সালাহ উদ্দীন