২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:২৪

শাবির আন্দোলনে ‘তৃতীয় পক্ষের ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা’ দেখছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শাবির আন্দোলনে ‘তৃতীয় পক্ষের ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা’ দেখছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত’ আছে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। 

প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি পরবর্তী সময়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রুপান্তরের বিষয়টিকে ‘অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের’ অ্যাখ্যা দিয়ে একে খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন তারা। 

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলা হয়। এতে শাবিপ্রবিতে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ। 

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ জানুয়ারি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন চলাকালে পুলিশের বলপ্রয়োগের মত অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উক্ত হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। আন্দোলনকে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মূলদাবি পূরণ হওয়া সত্ত্বেও উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের এই রূপান্তরের বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের। যা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে।

এতে আরও বলা হয়, চলমান পরিস্থিতিতে রবিবার আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করেই উপাচার্যের বাসার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, যা অমানবিক এবং শিক্ষাঙ্গনের আন্দোলনে একটি অনাকাক্সিক্ষত মাত্রা যুক্ত করেছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে কোন সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয়।

বিবৃতিতে গণমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণের বরাতে বলা হয়, একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলে প্রতীয়মান হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই। একই সাথে সরকারকে আহ্বান জানাবো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি পুলিশী হামলায় কারও কোন উষ্কানী রয়েছে কিনা তাও তদন্তের দাবি জানান তারা। 

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর