সাভারে টিকা নিতে গিয়ে কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মারধরের শিকার ও হেনস্তার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার তিনজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুই শিক্ষার্থী মারধরের প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরি গেট এলাকায় জাবি ফটকের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আরিচামুখী সড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শতাধিক শিক্ষার্থী। এতে মহাসড়কের একটি লেনে প্রায় দুই কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী হলেন-দর্শন বিভাগের মো. ইমন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মো. মাজেদ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে জাবির দুইজন শিক্ষার্থী সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়ান। এ সময় টিকাদানের সময় শেষ হয়েছে জানিয়ে টিকাদান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে টিকাপ্রত্যাশী অনেকেই লাইন শেষ হওয়া পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলমান রাখার অনুরোধ জানান। তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা এতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তারা। এরপর তাদেরকে আটক করে সাভার মডেল থানায় নিয়ে গেলেও সেখানে কোনো মীমাংসা হয়নি। ওই দুই শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ওই দুই শিক্ষার্থী জোর করে টিকা নিতে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের থানায় নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি নিয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ফিরোজ আল হাসান বলেন, 'বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।'
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন