রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত তিন সাংবাদিক ছাত্রলীগ কর্তৃক মারধর এবং লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় অবস্থান কর্মসূচি করছেন ক্যাম্পাসে কর্মরত তিন সাংবাদিক সংগঠনের সংবাদকর্মীরা। রবিবার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে অভিযুক্তদের বিচারসহ ৩ দফা দাবিতে কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত সংবাদকর্মীরা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংবাদকর্মীদের দাবিগুলো হল- অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন কাজলসহ তার দুজন সহযোগীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা, দায়িত্বে অবহেলার জন্য মাদার বখ্শ হল প্রাধ্যক্ষকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং হলে হলে ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এর আগে, কালো ব্যাজ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় থেকে এক র্যালি বের করে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন সাংবাদকর্মীরা।
সংবাদকর্মীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিফ রিয়াদের সঞ্চালনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এবং প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা লাগামহীনভাবে সিট বাণিজ্য করাসহ একের পর এক সাংবাদিকদের মারধর এবং লাঞ্ছিত করেই চলেছে। কিন্তু প্রশাসন তাদের শাস্তির আওতায় আনার নামে সাংবাদিকদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ তারা নেয়নি। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।
এর আগে, গতকাল ২৯ মে রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের টিভি রুমে সিগারেট খেতে নিষেধ করায় শাহাবুদ্দিন নামের এক সাংবাদিককে মারধর করে গিয়াস উদ্দিন কাজল নামের এক ছাত্রলীগ নেতা। এরপর গত ২ জুন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শহীদ মাহমুদ হাবীব হিমেল ভবনে ছাত্রলীগের ভাংচুরের ভিডিও ধারন করায় ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিক ওমর ফারুককে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরও আগে, গত ২১ মে লিজ ছাড়াই আমবাগান দখলের বিষয়ে কয়েকজন সাংবাদিক কথা বলতে গেলে সাংবাদিক লাবু হককে হেনস্তা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ