১৮ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:০৩

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাবিতে শেখ রাসেল দিবস পালিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাবিতে শেখ রাসেল দিবস পালিত

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এ উপলক্ষ্যে শহিদ শেখ রাসেলের স্মৃতি বিজড়িত ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহিদ শেখ রাসেলের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, কেক কাটা, আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো, ‘শেখ রাসেল/নির্মলতার প্রতীক/দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’। 

সকালে শহিদ শেখ রাসেলের ম্যূরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শ্রদ্ধা জানান।

সকাল ১১টায় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শহিদ শেখ রাসেলের শিশু কিশোর জীবনের উপর আলোকপাত করে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন।

সভায় উপাচার্য বলেন, শহিদ শেখ রাসেলের স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুল ক্যাম্পাস আজ এক পুণ্যভূমিতে রূপান্তরিত হয়েছে।  তিনি বলেন, অসাধারণ কিছু গুণের অধিকারী ছিলেন শিশু রাসেল। তিনি অত্যন্ত সৎ, স্পষ্টভাষী, বন্ধুবৎসল ও অনন্য মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী ছিলেন। সেদিনের ছোট্ট রাসেল বেঁচে থাকলে আজ ৫৯ বছরের পরিণত মানুষ হতেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নেতৃত্ব দিতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকদের নির্মম বুলেট সেটি হতে দেয়নি। শেখ রাসেল তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। শহিদ শেখ রাসেলের মূলবোধ ধারণ করে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য উপাচার্য নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। 

ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য(শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি এক্স-স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন (ইউলেসা)-এর সভাপতি নাঈম আহম্মেদ খান, শহিদ শেখ রাসেলের সহপাঠী অধ্যাপক ফওজিয়া বানু এবং ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইফ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম।
 
উল্লেখ্য, আলোচনা পর্ব শেষে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে শহিদ শেখ রাসেল স্মৃতি বৃত্তি এবং কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর