রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সায়মা আরাবীর আত্মহত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন এ দাবি জানানো হয়। এসময় আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারীদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সায়েমার মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অসীম নাবিল জানান, ছোট বেলাতেই সায়েমার সঙ্গে কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই গ্রামের নাজমুল মাহমুদ পলাশ। বিষয়টি বুঝতে পেরে সায়েমা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর পলাশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পলাশ প্রায়শই তাদের বাড়িতে এসে বিয়ের জন্য হুমকি দিতো। গত ১৪ জানুয়ারি সায়েমার বিয়ে হয়। বিষয়টি জানতে পেরে পলাশ সায়েমার সঙ্গে থাকা অতীতে কিছু ছবি ও ভিডিও এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে পলাশ ও তার সঙ্গীরা সায়েমাকে তুলে নিয়ে ফের বিয়ে করে।
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, দেশব্যাপী নারীদের উপর যে নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে, তারই অংশ সায়েমা। তিনি সদা হাস্যোজ্জল একজন মেয়ে ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না। তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। যা এক ধরনের হত্যা। তাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্ররোচনাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত ড্রাগ (ঔষধ) সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সায়মা। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ২০ জানুয়ারি ভোর মৃত্যুবরণ করেন এই ছাত্রী।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও মহিলা পরিষদ। তারাও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত