পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত চাঁদাবাজদের ধরে ক্যাম্পাসে ঝুলিয়ে রাখছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর তাদেরকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিকালেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তিনজন চাঁদাবাজকে ধরে ঝুলিয়ে রাখেন তারা। এর আগেও গত কয়েকদিনে বেশকিছু চাঁদাবাজকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়ে কয়েকটি চক্র নিয়মিত ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলছে। পাশাপাশি তাদের আরেকটি বড় দল সদরঘাটসহ বিভিন্ন ফুটপাত থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করছে। এছাড়া তারা রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ দোকান কিংবা নৌকার মাঝিদেরও ছাড় দিচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, গত ৬ আগস্ট থেকে নিয়মিত পুরান ঢাকায় বিভক্ত হয়ে চাঁদাবাজ ধরছে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের সকল ব্যবসায়ীদের বলে দিয়েছি, কেউ চাঁদা নিতে আসলে যেন খবর দেয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের মুঠোফোনে নম্বর এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের নম্বরসমূহ ব্যবসায়ীদের দিয়েছি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা এখন ভয়-ভীতি ছাড়া ব্যবসা করতে পারছি। আমরা এমনই একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো চাঁদাবাজ, নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী থাকবে না। শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রম নিয়মিত চলতে থাকলে শুধু পুরান ঢাকা নয়, পুরা দেশের সব চাঁদাবাজরা ভয়ে পালাবে। আমরা দেশ গঠনে ছাত্র সমাজের পাশে সব সময় ছিলাম এবং থাকবো।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নূরনবী বলেন, পুরান ঢাকায় কোনো চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না। আমরা ছোট ছোট দলে ভাগ করে দিয়েছি এসব চাঁদাবাজদের ধরতে। এর সঙ্গে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করবো। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যা যা দরকার, এই দেশের ছাত্র সমাজ সেটাই করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু চাঁদাবাজ নয়, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও তদারকি করব বাজারে। আগামীতে এসব কাজের পরিধি আরও বাড়ানো হবে আমাদের পক্ষ থেকে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল