প্রো-ভিসি, ট্রেজারারের পর ৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন নতুন প্রক্টর ড. মাসুদ রানা ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইমরান হেসেন। সোমবার ভোরে ক্যাম্পাসের বাসভবন থেকে ভাইস চ্যান্সেলর ড. হাফিজা খাতুন চলে গেছেন ঢাকায়, সম্ভাবনা রয়েছে তারও পদত্যাগের।
গত কয়েকদিন আগে রিজেন্ট বোর্ড সভায় ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। একই সাথে শীর্ষ কয়েকটি পদে রদবদলও করা হয়।
গত সোমবার (১২ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি এসএম মোস্তফা কামাল ও কোষাধ্যক্ষ কেএম সালাউদ্দিন পদত্যাগ করেন। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগের কপি প্রেরণ করেন। পরদিন মঙ্গলবার প্রশাসনিক শীর্ষ কর্মকর্তা পদে ব্যাপক রদবদল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম আরো জানান, প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন, পরিবহন প্রশাসক রাহিদুল ইসলাম ও ডরমিটরি প্রশাসক আকরাম হোসেনকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইমরান হোসেন, পরিবহন প্রশাসক পদে মো. কামরুজ্জামান এবং ডরমিটরি প্রশাসক পদে আরিফ ওবাইদুল্লাহ দায়িত্ব পান। নানান নাটকীয়তা শেষে বিবিএ বিভাগের শিক্ষক ড. মাসুদ রানাকে প্রক্টরের দায়িত্বও দেয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহনের ৫ দিনের মাথায় সোমবার বেলা ১২ টার দিকে প্রক্টর মাসুদ রানা, ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইমরান হোসেন পদত্যাগ করেছেন। তবে বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাইস চ্যান্সেলর ড. হাফিজা খাতুনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য পদত্যাগ করা প্রো-ভিসি এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিয়ন থেকে কর্মকর্তা বনে যাওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে কপিতয় শিক্ষকরা লেলিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। পিয়ন থেকে পদোন্নতি পেয়ে কর্মকর্তা হওয়া কয়েকজন ব্যক্তি কোনো প্রোটোকল বুঝে না, কার সাথে কেমন ভাবে কথা বলতে হবে কিছু না বুঝেই যাকে তাকে হেয় করার কারণেই পাবিপ্রবির বর্তামানের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদেরকে এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হলে ভবিষ্যত খুবই খারাপের দিকে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল