ময়মনসিংহের আনন্দমোহন সরকারি কলেজে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংর্ঘষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে হল। এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এর আগে রবিবার রাতে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করলেও শিক্ষার্থীরা দুপুরের পর থেকে হল ছাড়তে শুরু করে। পরে বিকাল ৫টার দিকে সংশ্লিষ্ট হলগুলো খতিয়ে দেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তবে সকাল ৮টার মধ্যে ছেলেদের সব হল ছাড়ার নির্দেশনা ছিল কলেজ প্রশাসনের। ওই রাতেই আগামী ৩দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কলেজের শ্রেণী কার্যক্রম। ফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হল ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তায় নিয়োজিত কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো: সফিকুল ইসলাম শফিক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় আমরা সর্তক অবস্থানে আছি। আশা করছি কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা আর হবে না।
ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন:
শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলকে অহেতুক জড়ানোর হয়েছে দাবি করে সোমববার দুপুরে কলেজ ফটকে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা বলেন, রবিবার অধ্যক্ষের কক্ষে হলের সিট নবায়ন নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটির মিটিং চলছিল। এ সময় হলের শিক্ষার্থীরা এসে কলেজে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে সিনিয়র শিক্ষকদের ক্ষমা চাইতে বলে। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রদলসহ কলেজের সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে হলের শিক্ষার্থীরা হামলা করে অধ্যক্ষের কক্ষে জুতা নিক্ষেপ করে। মূলত এ ঘটনার জের ধরেই শিক্ষার্থীদের দুইটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় ছাত্রদল নেতারা ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করে বলেন, হলে মেয়াদোর্ত্তীণ কোন শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না, অবৈধ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চিহ্নিতদের বের করতে হবে, হলে ৫ আগষ্টের পর যারা অবৈধভাবে উঠেছে তাদের নবায়ন করা যাবে না এবং নবায়ন ফি ৬৫০০ টাকা থেকে ৫৫০০ টাকা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকাল পাঁচটার দিকে হলের সিট বরাদ্দের নবায়ন ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের দুইটি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল