বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। তার পদত্যাগের জন্য উর্ধ্বতন কমকর্তাদেরও অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করছে না। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে বরিশাল-ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পরীক্ষা ছাড়া একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দিনভর ২৫টি বিভাগের পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘোরাফেরা করে সময় কাটিয়ে চলে গেছেন।
এর ধারাবাহিকতায় বেলা ১২টা থেকে এক দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেখানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সুজয় শুভ, মোশারফ হোসেন, শিক্ষকদের মধ্যে হাফিজ আশরাফুল হক প্রমুখ।
কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, ‘উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই ভালো নেই। এই উপাচার্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে।’
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাই। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে- যাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই চান না, তাকে অবিলম্বে অপসারণ করে সংকটের সমাধান করুন।’
প্রভাষক মুস্তাকিন বিল্লাহ বলেন, ‘গত ২৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। কিন্তু উপাচার্য পদত্যাগ করছে না। এ উপাচার্য পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত হবে না। তাই তার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে শিক্ষকরাও একত্মতা প্রকাশ করেছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ