সম্পূরক বৃত্তি, জকসু নীতিমালা ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সাথে দুই দাবি পূরণ হওয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেছেন তারা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এ সময় শাখা ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, আপ বাংলাদেশ, ইসলামিক ছাত্র আন্দোলন সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘আটটা টু আটটা, বাজায় কার ঘণ্টা’, ‘ভিসি স্যার জানেন না নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি’, ‘ভিসিস্যার শুনছেন নাকি, আমরা এখানে বইসা গেছি’, ‘হচ্ছে হবে বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’, ‘করছি করছি বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘সিন্ডিকেটের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘বৃত্তি আমার অধিকার মুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘বিপ্লবে বলিয়ান, নির্ভীক জবিয়ান’, ‘আবাসন বৃত্তি দিতে হবে, দিয়ে দাও’, ‘এ লড়াইয়ে জিতবে কারা, জবিয়ান জবিয়ান’ সহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।
অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, আমাদের বহুল আকাঙ্খিত সম্পূরক বৃত্তি নিয়ে আমরা স্পষ্ট কোনো ব্যাখা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত পাইনি। জকসু নিয়ে স্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ প্রশাসন আমাদের দিতে পারেনি। সম্পূরক বৃত্তি নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখা এবং জকসুর রোডম্যাপ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলতে থাকবে।
লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ‘প্রশাসন গতকালকে সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা অনুমোদন করেছে কিন্তু আইন পাশ, তফসিল সহ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। সম্পূরক বৃত্তির ব্যাপারেও তারা স্পষ্ট কিছু জানায়নি। তারা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে ছেলেখেলা ভাবছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ