নারায়ণগঞ্জ থেকে সিলেটের বিশ্বনাথে আসা একটি ওষুধের গাড়ির ভেতর থেকে ১৩ নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে গোপনে জেলায় প্রবেশের সময় জনতার হাতে আটকা পড়েন তারা। পরে বিশ্বনাথ থানার একদল পুলিশ দ্রুত গিয়ে ওই গাড়ির ভেতর থেকে ১৩ নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে এই সময়ে এদের আসা নিয়ে বিশ্বনাথজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে মানুষ ভর্তি ওষুধের একট কাভার্ডভ্যান উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নে প্রবেশ করে। কাভার্ডভ্যানটি ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে আসে। ভ্যানটি হচ্ছে- মেসার্স রূপা এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা মেট্রো-ড, ১৪-৬০২৪)। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ভ্যানটি আটক করে তারা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ জানায়, সেহরির সময় ওই এলাকায় একটি ভ্যান প্রবেশ করলে স্থানীয় জনতা তার গতিরোধ করে। এসময় চালক পালিয়ে যান। পরে ভ্যানের দরজা খোলা হলে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন ৯ জন নারী-পুরুষ ও ৪ শিশু।
পুলিশ জানায়, তারা সকলেই বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা। তারা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। কাজ না থাকায় ওই ভ্যানে করে বাড়ি ফিরেন তারা।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিশ্বনাথের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রীও দেয়া হয়েছে। আর ওই ক্যাভার্ডভ্যান বিশ্বনাথ থানায় রাখা আছে, চালক এখনও পলাতক।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত