করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আরও ৪জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা মেডিকেল টিম। এছাড়াও উপসর্গ থাকায় নেওয়া হয় স্থানীয় একজনের নমুনাও।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে ২ জন ও রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও থেকে নেওয়া হয় ৩ জনের নমুনা। এবার নারায়ণগঞ্জ ফেরত ১৩ জনের মধ্যে কেবল ৪ জনেরই নমুনা নেয়া হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ শেষে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পরিবারের সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে বিশ্বনাথে এ নিয়ে নেওয়া হলো ৩৫ জনের নমুনা। এর মধ্যে ২৭ জনেরই রিপোর্টই নেগেটিভ। অপেক্ষমান রয়েছে সদ্য নেওয়া ৫ জনসহ ৮ জনের রিপোর্ট।
সূত্র জানায়, গেল ৩০ এপ্রিল ভোররাতে পণ্যপরিবহনের একটি ভ্যানে করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে আসেন বিশ্বনাথের ১৩ নারী-পুরুষ। সকলেই রামপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা। খবর পেয়ে তাদের খাদ্যসমগ্রী দিয়ে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করে পুলিশ। চালক গা ঢাকা দেওয়ায় জব্দ করা হয় ভ্যান। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপজেলায়। দেখা দেয় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা জানান, নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোর পর রিপোর্ট পেতে আমাদের সময় লাগছে ৭-৮ দিন। এ ক্ষেত্রে সকলের নমুনা না নিয়ে উপসর্গ যাদের আছে তাদের নমুনা নিচ্ছি আমরা।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই মুহূর্তে সকলের নমুনা নেয়ার প্রয়োজন নেই। নায়রাণগঞ্জ ফেরত একই পরিবারের যাদের উপসর্গ বিদ্যমান তাদের ক’জনের নমুনা নিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ