২৮ মে, ২০২০ ১৬:০৬

সিলেটে মৎস্য আড়তে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

সিলেটে মৎস্য আড়তে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১২

সিলেটে মৎস্য আড়তে প্রবেশের রাস্তা নিয়ে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ উভয় পক্ষের ৭ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষের সময় মৎস্য আড়তের ইজারাদারের পেট্রোল পাম্প ও প্রাইভেট কারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে সিলেট শহরতলীর টুকেরবাজার তেমুখী মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সাথে স্থানীয় সাহেবেরগাঁও’র সিরাজুল হক ও আকমল হোসেনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, টুকেরবাজার মৎস্য আড়তের রাস্তা নিয়ে আড়তের ব্যবসায়ী সমিতি ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও বিরোধের নিষ্পত্তি হয়নি। গত রমজান মাসে সাহেবেরগাঁওর সিরাজুল হক ও আকমল হোসেনের নেতৃত্বে রাস্তার মাঝখানে বাঁশের খুঁটি পুঁতে আড়তে ট্রাক প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। গত বুধবার রাতে পাকা পিলার দিয়ে তারা রাস্তা বন্ধ করে দেন। বৃহস্পতিবার মাছ নিয়ে আড়তে ট্রাক আসলে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা পিলার তুলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। 

মৎস্য আড়তের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, সিরাজুল হক ও আকমল হোসেনসহ স্থানীয় একটি চক্র বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর জের ধরে তারা আড়তে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বৃহস্পতিবার রাস্তার মধ্যে পুঁতে রাখা পিলার ও খুটি তুলতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার মালিকানাধীন সফাত উল্লাহ ফিলিং স্টেশন ও তার প্রাইভেট কারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা ট্রাক ভর্তি মাছও লুট করে বলে অভিযোগ করেন হেলাল উদ্দিন।

এদিকে, সংঘর্ষে অপরপক্ষে নেতৃত্বদানকারী সিরাজুল হক ও আকমল হোসেন পুলিশ হেফাজতে থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

জালালাবাদ থানার ওসি আকমল হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষের সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর