শিরোনাম
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৮:৪৯

গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাসী নই : কাউন্সিলর আজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাসী নই : কাউন্সিলর আজাদ

গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে নিজে বিশ্বাসী নয়, তার নামে কোন গ্রুপও নেই বলে দাবি করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের চারবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।

২৬ বছর আগে ছেড়ে আসা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে এখন তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস ও টিলাগড় কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। কিছু কিছু সংবাদে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তার নামও জড়ানো হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, প্রায় ২৬ বছর আগে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে যুবলীগ করে বর্তমানে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতি করছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে তিনি রাজনীতি করছেন। তার নামে কোন গ্রুপ নেই, তিনি গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতেও বিশ্বাসী নন। এমসি কলেজ, ছাত্রাবাস ও টিলাগড় কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
 
বিবৃতিতে আজাদ আরও বলেন, স্কুলে পড়ালেখার সময় থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। এরপর জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৬ সালে যুবলীগের রাজনীতি শুরু করেন। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালেই ২০০৩ সালে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হন। গত কমিটিতেও তিনি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গত ১৭ বছর ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। তাই গত ২৬ বছর থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে দূরে। সিটি কর্পোরেশনের চারবারের কাউন্সিলর হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানুষের সেবা করে আসছেন।

আজাদ বলেন, এমসি কলেজ সংলগ্ন টিলাগড়ে তার স্থায়ী ও আদি নিবাস হওয়ায় ওই এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কোন অপকর্ম করলেই রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে মহল বিশেষ তার নাম জড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি কখনো কোন অপরাধে মদদ বা অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেননি। কোন অপরাধীর পক্ষে থানা-পুলিশেও কোন দিন তদবির করেননি। বরং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নিতে সব সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন।

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সাথেও তার কোন সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার পর যারা অপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করেছে, যাদের সাথে অপরাধীদের যোগাযোগ ছিল তাদের সনাক্ত করা গেলেই অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের নাম বের হয়ে আসবে বলে তিনি জানান।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর