ফের পেছালো এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। বিচারিক আদালত পরিবর্তনের জন্য বাদী উচ্চ আদালতে আবেদন করায় আজ রবিবার ধার্য তারিখে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। বর্তমানে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বিচারাধীন আছে। এর আগে বাদী পক্ষের সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় তিনবার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, রবিবার সকাল ১১টার দিকে মামলার কারান্তরিণ ৮ আসামীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবী বিচারিক আদালত পরিবর্তনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদনের বিষয়টি বিচারককে অবগত করেন। ফলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, বাদী ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে বিচারিক আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২৬ ধারায় আদালত পরিবর্তনের এই আবেদন করা হয়। আবেদনে সিলেটের অন্য কোনো ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য মামলাটি যেন বদলির আদেশ দেয়া হয়- সে প্রার্থনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় গতকাল রবিবার আদালতে সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন ক্যাডার ওই গৃহবধূকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রাতে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- ছাত্রলীগ ক্যাডার এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, আইনুদ্দিন ও মিসবাউল ইসলাম রাজন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর