বরিশাল নগরী থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুক্তা আক্তার (৯) নামে এক গৃহপরিচারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নগরীর কালুশাহ্ সড়ক এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে গৃহকর্তা প্রকৌশলী নুরুল আহাদ রানাকে আটক করা হয়। নির্যাতিতা মুক্তা আক্তার ভোলা জেলার তাছলিমা সুরমার মেয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার দিকে কালু সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে শিশুটি কাঁদছিল। এক পর্যায়ে সে রিকশাওয়ালাদের যেদিক ইচ্ছে সেদিকে নিয়ে যাওয়ার আকুতি করছিল। এসময় স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেয়।
পরবর্তীতে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতনের অভিযোগে বাসার মালিক প্রকৌশলী নুরুল আহাদ রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, দুই বছর ধরে শিশুটি নূরুল আহাদ রানার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করছিল। ছোট-খাটো অপরাধে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। শুক্রবারও রানা এবং তার স্ত্রী নুসরাত পিংকি লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটায়। এ ঘটনায় রানা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন