রাজশাহীর বাঘায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ডাকা সালিশ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিত ওই কিশোরীর বাবা শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলায় পুলিশ ধর্ষকের বাবা কামরুল ইসলাম কামুকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘা উপজেলার খায়েরহাট পশ্চিমপাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত ধর্ষক যুবক সম্রাট আলী (১৮) বর্তমানে পলাতক আছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে বাঘার খয়েরহাট গ্রামের ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে সম্রাট। এসময় ওই কিশোরীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে সম্রাটকে তার ঘরের মধ্যে আটকানোর চেষ্টা করে। তবে ঘরের জানালা ভেঙে সে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর রাত ৯টার দিকে স্থানীয় আড়ানী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিশ বৈঠক বসে। এতে স্থানীয় নজরুল ইসলামসহ দুই শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হাজির করা হয় সম্রাটকেও। সালিশ বৈঠক চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সালিশে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে মাটিতে ১০ বার থুথু ফেলে সেই থুথু আবার খাওয়ানো হয়। এছাড়া জরিমানা করা হয় ৮০ হাজার টাকা। তবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে তিন মাসের সময় চান সম্রাটের পিতা কামরুল ইসলাম। এতেই ভেস্তে যায় সালিশ বৈঠক।
সালিশ বৈঠক ভেস্তে গেলে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় সম্রাট। এ ঘটনায় রাতে থানায় মামলা করেন ওই কিশোরীর পিতা। পরে বাঘা থানা পুলিশ সম্রাটের পিতা কামরুল ইসলামকে আটক করে।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ধীরেন্দ্র নাথ জানান, মামলার পর ধর্ষকের বাবাকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষককেও আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব