মসলা বাটার শিল নোড়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে রশিদা বেগম (২৫) নামে এক নারীকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে তার স্বামী।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বেলদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, নির্যাতন করতে গিয়ে রশিদার শরীরে দেওয়া হয়েছে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাকা।
এ ঘটনার পর রশিদার স্বামী হৃদয় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়িওয়ালাসহ স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অচেতন অবস্থায় রশিদাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
রশিদার মা সুন্দরী বেগম জানান, প্রায় ৭ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে রশিদার সঙ্গে হৃদয়ের বিয়ে হয়। হৃদয় নগরীর সাহেববাজার এলাকায় পুরাতন প্রেসার কুকার মেরামতের কাজ করতেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই হৃদয় প্রায় সময় রশিদাকে যৌতুকসহ নানা কারণে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। কয়েক মাস আগে নগরীর বেলদারপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে গিয়ে ভাড়া উঠে তারা। শুক্রবার এক দফা মারপিট করে রশিদাকে তার স্বামী রাস্তায় ফেলে চলে যায়। ওইদিনই রশিদা গিয়ে নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকায় তার বড় বোনের বাড়িতে গিয়ে উঠে। রবিবার কৌশলে হৃদয় রশিদাকে বাড়ি নিয়ে যায়। দুপুরে তাদের দুইজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে শিল নোড়া দিয়ে হৃদয় তার মাথায় আঘাত করে। সেই সঙ্গে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাকা দেয় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে। এতে করে রশিদা গুরুতর আহত হন। মারপিটের ঘটনার সময় বাড়িওয়ালার ছেলে মনিসহ স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হৃদয় আহত রশিদাকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রশিদাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মাথার কয়েক জায়গা কেটে গেছে। বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, এ ঘটনায় স্বামী থানায় আটক আছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন