সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে। কারান্তরিণ দুই আসামী আজ ধার্য্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না থাকায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ৩০ ও ৩১ মার্চ নির্ধারণ করেছেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক পিপি কিশোর কুমার কর জানান- আজ আদালতে তিন সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কারান্তরীণ ১৪ আসামির মধ্যে ১২ জন উপস্থিত থাকলেও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সিসিক’র সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এজন্য আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ করেননি।
এডভোকেট কিশোর কর আরো জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। তিনি জানান- হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে এসেছিল কিবরিয়া হত্যা মামলাটি। দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু এ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় নিয়মানুযায়ী ১৫ কর্মদিবস করে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়। সেই সময় পেরিয়ে যায় গতবছরের ৯ ডিসেম্বর। এমতাবস্থায় মামলার কার্যক্রম সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে রাখতে গত ৬ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১১ মার্চ থেকে পুনরায় দ্রুত বিচার আদালতে বিচার শুরু হয় আলোচিত এ মামলার। ওইদিন হবিগঞ্জের আলতাব ও আবদুল খালিক নামক দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরও আগে গত ২, ৩, ৯, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য্য তারিখ থাকলেও সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেণেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। টানা নয় দফা পেছানোর পর গতবছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ ও জামিনে থাকা সকল আসামির উপস্থিতিতে মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন