বরিশাল এলজিইডিতে রিভলভার দিয়ে পিটিয়ে এক ঠিকাদারের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে। আহত ঠিকাদার সেলিমকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলীর পাশের কক্ষে সিসিআরপি'র ১১ কোটি টাকার কাজ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে মো. সেলিম খান ওরফে ভিপি সেলিম নামে ওই ঠিকাদারের মাথা ফাটিয়ে দেন নাহিদ।
আহত ভিপি সেলিমের বন্ধু ঠিকাদার মো. আজাদ জানান, মেহেন্দিগঞ্জের সিসিআরপি'র প্রায় ১১ কোটি টাকার একটি কাজের সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয় মেহেন্দিগঞ্জের ঠিকাদার মো. সেলিম খান ওরফে ভিপি সেলিম। ওই কাজের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের বিকল্প হিসেবে গঠিত ছাত্রকর্ম পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ন জিএস ও বিএম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাত। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিপি সেলিম ওই কাজের পারফরমেন্স সিকিউরিটি জমা দিতে এলজিইডি কার্যালয়ে গেলে নাহিদ তাকে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে নাহিদ সেরনিয়াবাত তার রিভলভার দিয়ে সেলিমের মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এলজিইডি'র সহকারী প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম জানান, তার পাশের কক্ষে ঝামেলা হয়েছে। ডাক-চিৎকার শুনে তারা সেখানে গিয়ে সেলিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে অফিসের লোকজন দিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠান।
বিএম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাত বলেন, ঠিকাদার সেলিমের কাছে তিনি ৫০ লাখ টাকা পান। সেই টাকা নিয়ে ওই ঠিকাদারের সাথে কথা কাটাকাটির সময় এক ছেলে কলম দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। তার অস্ত্রের আঘাতে মাথা ফাটার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন নাহিদ।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসাইন জানান, এলজিইডি কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নাহিদের লোকজন এক ঠিকাদারের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। টেন্ডার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ