গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘বাংলাদেশের গর্ভন্যান্স ও অরাষ্ট্রীয় ভূমিকা পালনকারী’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথি বক্তার ভাষণে তিনি আরো বলেন, “বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী, বুদ্ধিজীবি ও পেশাজীবি নের্তৃবৃন্দের মতামতের প্রতি গুরুত্ব দিলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণে সরকারের বাইরের শক্তিকে যুক্ত না করলে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”
সেমিনারে জাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, “কথিত সুশীল সমাজের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ‘সুশীল সমাজ’ শব্দদ্বয় এখন গালিতে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সরকার কর্তৃক গৃহীত এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে যা আমাদের দেশ এবং জাতির জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে। অথচ এসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম নীরবতা পালন করার পাশাপাশি সেগুলোকে ইতিবাচক রূপে প্রচার করছে।” উদাহরণস্বরূপ তিনি বাঁশখালির কয়লাভিত্ত্বিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। সেমিনারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হোসাইনের সভাপতিত্বে অতিথি বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) পরিচালক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ, মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/০৪ জুন ২০১৬/হিমেল-০৩