জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও দূষণের কবল থেকে বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনকে বাঁচাও। বিষযুক্ত পানি পান করে বাঘ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগকারী ও বাঘ পাচারকারীদের রুখে দিতে হবে। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। সংকটাপন্ন বন্যপ্রাণী বাঘ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা চাই। মঙ্গলবার সকালে মোংলা উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিশ্ব বাঘ দিবসে "সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও" শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস,এম মাসুদ রানা, প্রেসক্লাব সভাপতি আহসান হাবিব হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু হানিফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শাহ্ আলম শেখ, ওয়াইল্ড টিমের সাইফুল ইসলাম, জেলে সমিতির আব্দুর রশিদ হাওলাদার, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার ও মেহেদী হাসান।
সঞ্চালনায় ছিলেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সুন্দরবন রক্ষায় আমরা'র সমন্বয়কারী মোঃ নূর আলম শেখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, বাঘ আমাদের শৌর্য্য-বীর্জের প্রতীক, সাহসের প্রতীক। জাতীয় ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল লোগো হচ্ছে বাংলার বাঘ। বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ আমাদের অহংকার। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, গত ২৫ বছরে ৩০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১০টি বাঘের। ১৪টি বাঘ পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় মানুষ। বাঘ মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন করে আমাদের সবাইকে বাঘ বন্ধু হতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে 'সুন্দরবনের বাঘ' বিষয়ক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম।
বি ডি প্রতিদিন/এএ