অভিন্ন কায়দায় খুন হয়েছেন চট্টগ্রামে জঙ্গি দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা ও পুলিশ হেড কোয়ার্টারে কর্মরত পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। গত দু বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের হাতে যে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে, সে সব খুনের সাথে মিতু হত্যার মিল পেয়েছে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। অন্যান্য এলাকায় খুনের ক্ষেত্রে যে প্রথম ধারালো অস্ত্র এবং পরে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে, মিতু হত্যাকাণ্ডেও ঠিক একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে দুবৃর্ত্তরা। পালিয়ে যাওয়ার সময়ও ব্যবহার করে মোটরসাইকেল এবং কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেয় তিনজন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, টাঙ্গাইলের হিন্দু দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর ল্যাংটা ফকির ও তার খাদেমকে খুন, আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যা, দিনাজপুরে ইতালীয় এক পাদ্রীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনার সাথে এ হত্যাকাণ্ডের অবিকল মিল রয়েছে। ওই হামলাগুলোতে যেমন তিনজন হামলাকারী ছিলেন, এখানে ঠিক তিনজন ছিলেন। হামলার সময় তারা মোটরসাইকেলে আসে, অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ছুরি, চাপাতি, পিস্তল। এখানেও ঠিক একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ছে। ওই সব ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
সিএমপি’র উপ-কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে হত্যাকারীর সংখ্যা তিন। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা আগে থেকেই ওই এলাকায় অবস্থান করছিল বলে ভিডিও দেখে মনে হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ জুন, ২০১৬/ আফরোজ