‘জিয়া রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় গোলাম আজমকে পাকিস্তান থেকে নিয়ে এসে আইবিএল নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। আর আইবিএলই প্রকৃতপক্ষে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিষ্ঠা করার একটি প্লাটফর্ম ছিল। তারাই পরবর্তীতে বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির প্রতিষ্ঠা করে।’ আর এভাবেই বিএনপির ছত্রছায়াতে বাংলাদেশে জামাত-শিবিরের বিকাশ ঘটেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা জুবায়ের চৌধুরী রিমুর ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে এ সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের সামনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা বাদশা আরো বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদের রক্ত ও শহীদ রিমুর রক্তের মূল্য সমান। রিমু হত্যার পরই দেশে প্রথম রাজাকারদের শাস্তির জন্য মানুষ স্বোচ্চার হয়ে ওঠে। সে সময়ে কেউ কল্পনাও করেনি বাংলাদেশের মাটিতে ওই সব স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের বিচার হবে। কিন্তু দেশনেত্রী শেখ হাসিনা রাজাকারদের ফাঁসি কার্যকর করে দেখিয়ে দিয়েছেন এদেশে কোনো রাজাকারের স্থান নেই। বাংলাদেশে যত জঙ্গি সংগঠনের সৃষ্টি হয় তার সবই বিএনপি শাসন আমলের।
আলোচনা সভায় রাবি ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি মাহবুব আলম সুজনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, ওয়াকার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক, রাবি অধ্যাপক সুজিত কুমার সরকার, পবা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শিবির সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায় এবং বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর নেতা কর্মীদের খুঁজে খুঁজে নৃশংসভাবে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এরপর মেঝেতে পড়ে থাকা রিমুকে কুপিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকেরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন