খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, সারাদেশে সহায়-সম্বলহীন ৫০ লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দশ টাকা কেজি দামে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছে। কিন্তু কিছু ডিলার এবং দলীয় লোক এ কর্মসূচিকে বিতর্কিত করছে। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতি কারীদের কোনো রকম ছাড় নয়। ইতোমধ্যে দেশের ৬৬ জনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দলীয় লোকদের বিরুদ্ধেও।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আবদুল ওয়াদুদ দারা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুল হক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন। এর আগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতার লক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মসূচিকে কোনভাবেই বিতর্কিত হতে দেব না। তাই অনিয়ম-দুর্নীতিতে যারাই জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কেননা দেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। আগে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হতো। এখন বাংলাদেশ থেকে খাদ্য রফতানি হচ্ছে। প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য বিদেশে রফতানি করা হয়। রফতানি করা হচ্ছে চাল। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ফলশ্রুতিতে কৃষকরা ভাল ফসল উৎপাদন করছে। উৎপাদিত হচ্ছে নানান খাদ্যসামগ্রী।