প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে ইরাক গমনকালে শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে করে কাতার হয়ে ইরাক যাওয়ার কথা ছিল ওই পাঁচ তরুণের।
উদ্ধারকৃতরা হলেন: মো. তুহিন ইসলাম (২৬), সজিব আহমেদ (৩০), মো. রাসেল ঢালী (২৭), মোহাম্মদ সোহাগ (৩২) ও মোহাম্মদ রিপন। একটি প্রতারক চক্র তাদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। বুধবার র্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার পাঁচজনের পাসপোর্টে কাতারের ভিসা এবং তাদের ব্যাগে ইরাকের ৫টি ভিসার কাগজ পাওয়া যায়। তাদেরকে বিভিন্ন এলাকা থেকে দালাল চক্র ইরাক নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকার ফকিরাপুলের ছাড়ানীড় হোটেলে জড়ো করে। পরে রবিউল নামে এক দালাল ঢাকা এসে তাদের ভিসা ও পাসপোর্ট দিয়ে যায়। ঢাকা থেকে বুধবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে শারজাহ সেখান থেকে কাতার হয়ে ইরাক যাওয়ার কথা ছিল তাদের। পাঁচজনের ৬০ দিনের মেয়াদে ব্যবসায়ীক ও শর্টটার্ম ভিসা দেওয়া হয়েছে। পারসোনাল ভিসা হওয়া সত্বে তিনজনের ভিসা নাম্বার একই এবং ইরাকের সব ভিসার নাম্বার, ইস্যুর তারিখ ও মেয়াদ একই। বিমানে উাঠার পর বাংলাদেশি কাগজপত্র ছিড়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে উদ্ধারকৃতরা জানান। কাতারে পৌঁছানোর পর সিন্ডিকেটের অন্য দালালদের মাধ্যমে কাতার থেকে বিমানযোগে ইরাক পাঠানোর কথা রয়েছে। সেখানে নিয়ে নির্যাতন করে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়ে থাকে বলে ধারণা র্যাবের।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহেল মাহমুদ জানান, অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে মানব পাচারকারী চক্র ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তির মাধ্যমে ইরাক নিয়ে যাওয়ার জন্য লোকজনদের প্রলুব্ধ করে। ইরাক পৌঁছার পর টাকা পরিশোধের চুক্তি হয়। মানব পাচারকারী চক্রের চার দালাল সনাক্ত হয়েছে উল্লেখ করে সোহেল মাহমুদ জানান, ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের চারজন দালাল শনাক্ত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ/১৩