চট্টগ্রামে আটক শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা কোটি টাকা দামের সেই মিৎসুবিসি পাজেরো গাড়ির মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। গাড়িতে থাকা ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ডের সূত্র ধরেই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা গাড়িটির ব্যবহারকারীর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এই গাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য এক কোটি টাকা হতে পারে বলে জানান তারা।
গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে অভিযান চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিলাসবহুল পাজেরো জিপটি আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। গাড়িটি পার্ক করা অবস্থায় থাকার কারণে তখন ব্যবহারকারীর পরিচয় জানা যায়নি। আটককালে গাড়িটির কোন মালিক বা ড্রাইভার কাউকেই না পাওয়া যায়নি। বাইরের মিস্ত্রী এনে লক ভেঙে গাড়ির ভেতর থেকে দুটো মোবাইল ফোন সেট, একটি ম্যানিব্যাগ এবং মানিব্যাগে অন্যান্য জিনিসপত্রের সাথে মিডল্যান্ড ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।
মালিক না পাওয়ায় রেকার এনে টেনে নিয়ে আটককৃত গাড়িটি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা প্রদান করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণে ধারণা করা হচ্ছে যে, কারনেট সুবিধার অপব্যবহারের মাধ্যমে গাড়িটি এনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম এলাকায় ব্যবহার করা হচ্ছিলো।
আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান বলেন, গাড়িটি ‘অদ্ভুত নম্বর প্লেট’ ব্যবহার করে চলাচল করার অভিযোগ থাকায় নজরদারিতে ছিল। এরই অংশ হিসেবে সোমবার অভিযান চালিয়ে সেটিকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, আটককালে প্লেটে চট্টমেট্টো-শ-০০-০০৯৭ প্লেট পাওয়া যায়। বিআরটিএ জানিয়েছে গাড়িতে ব্যবহৃত নম্বরটি তাদের সিস্টেমসে নিবন্ধিত নয়। ডিজিটাল নম্বরের পরিবর্তে ম্যানুয়াল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ডেবিট কার্ড নম্বরের (৪৭৯১৬১০০০০০৬২৯৬৯) সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে বুধবার গাড়ি ব্যবহারকারীর সন্ধান পাওয়া গেছে। গাড়ির মালিক শাহেদ হোসাইন নগরীর ১ নম্বর জয়নগর এলাকার ১৮ নম্বর লেনের ৫২বি বাড়ির মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে। পাসপোর্টের স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী শাহেদ রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গাড়িটির বর্তমান মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ