চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক ছাত্রদল চকবাজার থানা শাখার সভাপতি নুরুল আলম শিপুর (৩২) জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগ থানা ঘেরাও করেছে। গতকাল শনিবার রাতে শিপুকে ছাড়াতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা নামধারী টিনুর নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী প্রায় দুই ঘণ্টা পাঁচলাইশ থানার সামনে অবস্থান নেয়। তবে পুলিশের অনড় অবস্থানের কারণে লাঠিচার্জ করে তাদের থানার সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। আজ রবিবার ছিনতাই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শিপুকে রিমান্ডের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হবে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, শিপুর বড় ভাই নূর মোস্তফা টিনু নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। চকবাজার এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নামধারী একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, ভাই হিসেবে ভাইকে থানায় দেখতে আসতে পারে। কিন্তু ছাড়ানোর জন্য পুলিশকে কেউ চাপ প্রয়োগ করতে পারে না। টিনু তা করার চেষ্টা করে। এখানে পুলিশের করার কিছুই নেই। তদন্তে যদি কারও নাম আসে, তাকে তো গ্রেফতার করতে হবে।
তবে টিনু নিজেকে যুবলীগের নেতা দাবি করলেও কোন পদে নেই বলে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, টিনু যুবলীগের কোন পদ-পদবিতে নেই। সে যদি যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে থানায় ছিনতাইকারীকে ছাড়াতে যায় তাহলে পুলিশের উচিৎ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। তাছাড়া একজন ছাত্রদল নেতাকে ছাড়ানোর জন্য যুবলীগ-ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করবে এটা আমাদের জন্য চরম বিব্রতকর।
পাঁচলাইশ থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে নগরীর কাতালগঞ্জ বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলি গ্রামের সিরাজুল হাকের ছেলে নুর উদ্দিন ইসলাম পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের শিকার হন। পরে তিনি বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ দেখে অহিদুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও চান মিয়া ওরফে মামুন নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে। পরে আরিফ ও মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছিনতাইয়ের মূল হোতা হিসেবে নুরুল আলম শিপুকে শনিবার রাতে নগরীর চকবাজারের মক্কি মসজিদের সামনে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব