যৌতুক দাবীতে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে বিষপানে অসুস্থ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আমরীবাড়ীয়া গ্রামের গৃহবধূ লাভলী বেগম (২০) ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। রবিবার বিকেল ৪টার দিকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
লাভলী রাঙ্গাবালী উপজেলার আমরীবাড়ীয়া গ্রামের বাবুল মৃধার মেয়ে এবং একই গ্রামের পলাশ প্যাদার স্ত্রী।
পরিবারের বরাত দিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুবোধ বাড়ৈ জানান, বিষপানে অসুস্থ লাভলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহৃ ছিলো। বিষপানের পর দুই দিন সে কোন চিকিৎসা পায়নি। বিষপানের পরপরই তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তার পরিস্থিতি এত খারাপ হতো না। যথা সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় সে মারা যায়।
লাভলীর মা নাজমা বেগম জানান, ৪ বছর আগে একই গ্রামের কালাম প্যাদার ছেলে ভাড়ায় চলিত মোটর সাইকেল চালক পলাশ প্যাদার সাথে লাভলীর সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পলাশ মোটর সাইকেল চালানো ছেড়ে যৌতুকের দাবিতে লাভলীর উপর আত্যাচার শুরু করে। গরীব পিতা বলে লাভলী নির্যাতনের বিষয়টি নিরবে সহ্য করতো।
সব শেষ গত মঙ্গলবার রাতে লাভলীকে তার স্বামী পলাশ, শ্বশুর কালাম প্যাদা ও শাশুড়ি বেদম মারধর করে। নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে লাভলী বিষপান করে।
বিষপানে লাভলী গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও তাকে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে দুই দিন ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে প্রতিবেশীদের কাছে এ খবর পেয়ে গত শুক্রবার রাতে তাকে উদ্ধার ওই দিনই লাভলীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানান তার বাবা বাবুল মৃধা।
শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, লাভলীর লাশ হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা হয়েছে। পুলিশের সুরাতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কলেজের মর্গে পাঠানো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব