দীর্ঘ ২২ বছর আগে রংপুরে এক কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে শফিউদ্দিন (৩০) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরেক নারীকে কুপিয়ে আহত করার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে জানান আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আখতারুজ্জামান পলাশ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিউদ্দিন (৩০) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খামারকুর্শা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার নথির বরাত দিয়ে আখতারুজ্জামান পলাশ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১৯৯৫ সালের ১২ জুলাই সন্ধ্যায় শফিউদ্দিন একই গ্রামের সোলেমান মিয়াকে মারতে যান। সোলেমানকে না পেয়ে তার বড়ভাই আমিন মিয়ার মেয়ে আম্বিয়া খাতুনকে(১৩) কুপিয়ে হত্যা করেন। এসময় সোলেমানের স্ত্রী আছেমা খাতুন এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান শফিউদ্দিন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় কিশোরী আম্বিয়া। ওই রাতেই শফিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেন সোলেয়মান মিয়া। আছেমা কিছুদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিঠাপুকুর থানার তৎকালীন এসআই মফিজ উদ্দিন তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ১৯ জুলাই ৩০২ ও ৩২৬ ধারায় শুধু শফিউদ্দিনকে অভিযুক্ত তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব