বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিনিয়োগবান্ধব নীতি-কৌশল কার্যকর করা ছাড়াও ব্যবসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ও সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ব্যবসা পদ্ধতি সহজ এবং বাণিজ্য সুবিধাদি’ বিষয়ক পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা করে বাংলাদেশ উদার বিনিয়োগ নীতি গ্রহণ করেছে। সরকার এবং ব্যবসায়ী একে-অপরের পরিপূরক, সকলকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ঝামেলামুক্ত ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসগুলোকে দ্রুত সেবাদানের জন্য অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর সুফল এখন ব্যবসায়ীরা ভোগ করছে। গত অর্থবছর আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ৩৪.২৬ বিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৭৭ ভাগ। এ বছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ডলার। গত এক দশক ধরে আমরা ৬.৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছি, বিগত বছর তা হয়েছে ৭.১১ ভাগ, এ বছর হবে ৭.২ ভাগ। সরকার ঘোষিত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এসডিজির সফল বাস্তবায়ন করবে। দেশের রপ্তানি এবং রপ্তানি বাজার বৃদ্ধি পাবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন