চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মহানগরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে বিশেষ তিন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে- পানি উন্নয়ন বোডের্র কর্ণফুলী নদীর তীরে দেওয়াল নির্মাণ, ২৫টি খাল ড্রেজিং, এবং খালের মুখে পাম্প হাউজ ও সুইস গেইট নির্মাণে ২৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ সব তথ্য জানান।
এ সময় উপস্থিত চিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী লে কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রমুখ।
সিটি মেয়র বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত চসিক নিজস্ব থোক/রাজস্ব বরাদ্দ থেকে ই-জিপি’তে প্রকাশিত ৮৯টি প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার খাল ও ড্রেন হতে মাটি উত্তোলন ও অপসারণ কার্যক্রম, চসিকের থোক ও রাজস্ব বরাদ্দ থেকে ৪১ টি ওয়ার্ডে ৪১৬ টি প্রকল্পের অধীনে ১৬০ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, এডিপির আওতায় ৫৭টি প্রকল্পের অধীনে ১৬২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দরপত্র আহবানের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ২০১৮ সনের মধ্যে নগরীকে শতভাগ আলোকিত করা হবে। এর অংশ হিসেবে সোলার ও নন সোলার প্রকল্পের অধীনে গৃহীত প্রায় ২৮ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় ২ কিলোমিটার এলাকায় ১০৩টি বাতি, নন সোলারের আওতায় ৫৬ কিলোমিটার এলাকায় ৩০১৭টি বাতি স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশ বান্ধব, স্বাস্থ্যকর ও বিশ্বমানের বাসউপযোগী নগরী গড়তে আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় গৃহীত কমসূচির অধীনে প্রায় ১৭শত নতুন সেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রম চালু হয়েছে। এ বছরের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সফলতা অর্জন করতে হবে। তিনি নগরের নানা উন্নয়ন কাজ প্রসঙ্গে বলেন, জাইকার আওতায় পোর্ট কানেকটিং রোড, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, ফ্লাইওভার, শিক্ষা ভবন নির্মাণ, ওভারপাস নির্মাণ ইত্যাদি প্রকল্পসমূহ আস্তে আস্তে বাস্তবায়ন করা হবে। তাছাড়া নতুন এ্যাসফল্টপ্ল্যান্ট চালু হলে সিডিএ, ওয়াসা ,পিডিবি, টিএন্ডটি, সড়ক ও জনপথসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন কাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সমূহ গুণগতমান সম্পন্নভাবে দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হবে।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথাকে সর্বোচ্চ সম্মানের সঙ্গে আমলে নিয়ে চসিক ৫০জন গরীব ও অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁদের নিজস্ব স্থানে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবন’ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রাথমিক পর্য্যায়ে ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার