বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. মশিয়ার রহমান বলেছেন, চট্টগ্রামসহ দেশের যে কোন বিআরটিএ অফিসে লাইন্সেস ও রেজিস্ট্রেশন পেতে কেউ যদি কোন ভোগান্তি কিংবা হয়রানির শিকার হন, তাহলে বিষয়টি আমাদের জানাবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর এলজিইডি মিলনায়তনে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নিরাপদ সড়ক মানে নিরাপদ জীবন’ শীর্ষক স্লোগানে বিআরটিএ মেট্রো ও জেলা সার্কেলের যৌথ উদ্যোগে সভার আয়োজন করে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার, চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সজল চন্দ্র বণিক, নিরাপদ সড়ক চাই চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব। বক্তব্য রাখেন বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) রায়হানা আকতার, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কে ৮০ কিলোমিটারের বেশি গাড়ি চালাচেন না। কারণ একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। অধিক আয় করতে গিয়ে যদি নিজের জীবনই হারাতে হয়। তাহলে তো সবশেষ। চালক প্রাণ হারালে গাড়ির মালিক হয়তো কয়েকদিন পরিবারের খবর নিবেন। পরবর্তীতে আপনার পরিবারের খবর আর কেউ নিবে না। তাই সকলের সচেতন হয়ে গাড়ি চালানো উচিত।
প্রধান অতিথি বলেন, অক্ষর জ্ঞানহীন চালকদের আলাদা ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা নিয়েই লাইন্সেস দেওয়া হবে। দেশে বর্তমানে ২৯ লাখ গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে লাইন্সেস আছে ২২ লাখ গাড়ির। সকল গাড়ি ও চালককে বিআরটিএ এর অধীনে লাইন্সেস ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।