রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের আগমনকে কেন্দ্র করে রাতারাতি পাল্টে গেছে চট্টগ্রামের রেলওয়ে হেড কোর্য়াটার সেন্ট্রাল রেলওয়ে ভবনের (সিআরবি)। পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক (জিএম) দপ্তর, সিসিএম দপ্তর, চীফ স্টেট দপ্তরের আশ-পাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, ভবনের সংস্কার (রং) দৃশ্যমান। সাম্প্রতিক সময়ে সিআরবির এ ভবনের ভিতরে-বাইরে সংস্কার কাজ করলেও হঠাৎ আবারও এ সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর মনিটরিং এ সিআরবি এলাকাকে সুন্দর্যবর্ধনের কারণে সাধারণ মানুষের রাত-দিন চলাচলের উপযোগি করা হয়েছে। এতে অনেক পরির্বতন এসেছে রেল ভবনসহ আশপাশের পরিবেশে।
রবিবার সকালে নতুন দায়িত্ব নেয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন দুই দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে চট্টগ্রাম আসছেন। এসময় তিনি পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময় ছাড়া উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরির্দশন করবেন। এসময় সফরসঙ্গী থাকবেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন) আহমেদ মোর্শেদও।
নতুন দায়িত্ব নেয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম চট্টগ্রামে আসছি। রেলের ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, সম্পত্তি রক্ষা করাসহ নানাবিধ বিষয়গুলো অজানা। ব্যক্তিগতভাবে জানার জন্য রেলের বিভিন্ন কাজ নিজেই দেখতে আসছি। রেলের চলমান কাজগুলো আরো গতিশীলের জন্য সকলের সাথে দেখা করা এবং কাজগুলো পরির্দশন করবো। তবে এটা নিজেদের কাজের একটা অংশ হবে বলে জানান তিনি।
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী আবদুল হাই বলেন, সকাল ১০টায় সিআরবিতে দায়িত্বশীলদের সাথে সভা, রেলের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির পরির্দশনসহ দুই দিনের কর্মসূচি রয়েছে সচিব মহোদয়ের। তিনি বলেন, দুপুর ১২টায় পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিদর্শন, দোহাজারি হতে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ নিমার্ণ প্রকল্প, ষোলশহর-দোহাজারি ও ফতেয়াবাদ-নাজিরহাট সেকশন পুর্নবাসন প্রকল্প এবং চীফ স্টেট অফিস পরির্দশনসহ নানাবিধ কাজ পরির্দশন করবেন। সোমবার রাতেই ট্রেন যোগে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগ আছে, নতুন জিএম (আবদুল হাই) দায়িত্ব নেয়ার আগে এসব সংস্কার কাজ করেছিল জনৈক ঠিকাদার। তিনি কার্যত তেমন কোন কাজ না করায় আবারও এসব কাজ করতে হচ্ছে। এতে চিহ্নিত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারি ঠিকাদারদের সাথে আতাঁত করে দৃশ্যমান কিছু কাজ করেই বিল তুলে নিয়ে যায়। তাছাড়া রেলের নিয়োগ বাণিজ্যের অন্যতম হোতা এনামুল হকের (বরখাস্তকৃত) নিকট আত্মীয় পূর্বাঞ্চলের চীফ কম্যান্ডেন্টের অলসতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে রেলের সম্পত্তি বেঘাত, পদোন্নতিসহ নানাবিধ কারণে অফিসার-সিপাহীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। নিয়োগ কাজে ব্যস্ত থাকায় ফলে রেলের কাজগুলো হরিলুটের মতো হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার