আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার মেডলার তৈরি পোশাক কারখানা থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে দুই তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
গত শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কারখানার আসবাবপত্র, মেশিনারি ও গোডাউনে রক্ষিত ফেব্রিক্স সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টায় আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই ও উত্তরা এলাকার ফায়ার সার্ভিসে ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর শিল্প পুলিশের পরিচালক সানা শামিনুর রহমান জানান, ঘটনা তদন্তে শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
কমিটির পরিদর্শক, কলকারখানা পরিদপ্তর, বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি গঠিত কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশমালা উল্লেখপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতরের স্টেশন অফিসার উপ-পরিচালক দেবাশীষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মেডলার এ্যাপারেলন্সের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতরের স্টেশন অফিসার উপ-পরিচালক দেবাশীষকে প্রধান করে উপ-সহকারি পরিচালক মামুন মাহমুদসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
আজ তিন দিন ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কমিটি তদন্ত কাজ করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা ও নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মেডলার এপ্যারেলন্স লি: জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মাদ শহীদ উল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কারখানার কাটিং সেকশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভষ্মীভূত বর্জ্য সরিয়ে এবং সেকশনটি চালু করতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে একটু সময় লাগবে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা শটসার্কিট না নাশকতা সে বিষয়েও কারখানার শ্রম মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তরে লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তদন্ত করছে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, কারখানার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২য় তলায় বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
মঙ্গলবার সকালে কারখানার মূল ফটকের সামনে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে কাঁদছে শ্রমিকরা। তারা বলেন, ঈদের পর আমাদের বেতন হওয়া কথা। উল্টো এখন আমরা অনেকে বেকার হয়ে পড়েছি । আমরা সাড়ে পাঁচ হাজার শ্রমিক অনেক কষ্টে রয়েছি ।
বিডি প্রতিদিন/১১ জুলাই, ২০১৭/ফারজানা