বরিশালে নির্ধারিত স্থানে বেশিরভাগ পশু কোরবানী হয়নি। সিটি করপোরেশন আগে থেকেই পশু কোরবানীর জন্য ১৭৪টি স্থান নির্ধারণ করে দিলেও কোন কাজে আসেনি। যে যেভাবে পেরেছে মূল সড়ক কিংবা অলিগলিতে পশু কোরবানী দেওয়ায় প্রকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।
এছাড়া বর্জ্য অপসারণের জন্য সিটি করপোরেশন থেকে কিছু ব্যাগ সরবরাহ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল ছিলো বলে অভিযোগ। চাহিদা অনুযায়ী ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে দাবী করে ঈদের দিন শনিবার দুপুরের পর থেকেই কোরবানীর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করে করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি করপোরেশন থেকে পর্যাপ্ত পরিমান ব্যাগ-ব্লিচিং পাউডার সরবরাহের কথা বলা হলেও তা ছিলো একেবারেই অপ্রতুল। এছাড়া পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ শুরুর আগেই রোদে রক্ত শুকিয়ে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রকট গন্ধ। আবার সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ঠিকভাবে কোরবানীর বর্জ্য অপসারণ করেনি বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
তবে সিটি করপোরেশন বলছে সাধ্যের সবটুকু দিয়েই নগরবাসীর সেবা দেওয়ার করেছেন তারা। ঈদের পরদিন রবিবার দুপুরের মধ্যে নগরীর সকল কোরবানীর বর্জ্য অপসাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
বরিশাল নগরীতে কোরবানীর বর্জ্য অপসারণে কাজ করে প্রায় ৫০০ শ্রমিক এবং ১৬টি ট্রাক, ১টি পানির গাড়ি, ৫০টি ভ্যান বক্স এবং ১০০টি ট্রলি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন