পাওয়ার কারের (ইঞ্জিন) ত্রুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের জনপ্রিয় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম-ঢাকামুখী ট্রেনটি ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ও ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী ট্রেনটি ৩৫ মিনিট বিলম্বে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এতে করে ঈদ ফেরত যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়ে যায়। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে পানিও খাবারের উপযোগী নয়। এ ঘটনায় সহকারী মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (আইসি) জহিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
শহিদ নামের এক যাত্রী বলেন, সময় মতো চট্টগ্রাম রেএস্টশনে আসলেও দীর্ঘক্ষণ ধরেই বসে থাকতে হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টার উপরে অপেক্ষায় থেকে ট্রেন ছেড়েছে। ট্রেন কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে সাধারণ যাত্রীরা এসব ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটির পাওয়ারকার করতে বিলম্ব হয়। শেষে রেলের বৈদ্যুতিক বিভাগের প্রকৌশলীরা এসে পাওয়ার কারের ত্রুটি সারিয়ে নেয়। জ্বালালি সরবরাহ স্থলের ত্রুটির কারণে পাওয়ারকার চালু করতে সমস্যা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
ঊর্দ্ধতন উপ সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, জ্বালানী সরবরাহের পাইপ জ্যাম হয়ে যাওয়ায় পাওয়ারকার চালু হচ্ছিল না। তবে খবর পেয়ে রেলের প্রকৌশলীরা দ্রুত ত্রুটি সারিয়ে নেয়। জ্বালানী তেলের সাথে ময়লা সরবরাহ হয়ে পাওয়ারকারের ত্রুটি হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রেন চলে গেছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম সকাল সাতটায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। একই রেক দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হয় বিধায় দিনের দ্বিতীয় ট্রেনটিও বিলম্বে ছেড়ে যায়। অর্থাৎ ঢাকা থেকে বিকাল তিনটায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ৩ টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। তাছাড়া অভিযোগ আছে, বিদ্যুৎ বিভাগে নানাবিধ অনিয়ম লেগেই আছে। পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার টেন্ডার জালিয়াতিসহ নানাবিধ কারণে বর্তমানে দুদক ও রেলের পৃথক দুটি তদন্ত চলছে। এসব ঘটনায় মনিটরিং ও দায়িত্বশীলতারও প্রশ্ন উঠেছে রেলঅঙ্গনে। একইভাবে এ দপ্তরের চিহ্নিত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/মাহবুব