স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের সম্ভাব্য চিকুনগুনিয়া রোগীর সংখ্যা ঢাকাতে ১৩ হাজার ৩৯৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন ব্যতিত সারা দেশে ১৮৫ জন, সর্বমোট ১৩ হাজার ৫৭৯ জন। চলতি বছরের ৪ মাসে আইইডিসিআর-এ প্রাপ্ত রক্তের নমুনা পরীক্ষায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বমোট ৯৮০ জন। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোন লোক মারা যায়নি।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের ১৭ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য সেলিম উদ্দিনের (সিলেট-৫) প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
ডাক্তাররের পদ শূন্য ৪ হাজার ২৩০
আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে এমবিবিএস ডাক্তারের অনুমোদিত পদ সংখ্যা ২৪ হাজার ৪৫৭টি এবং বর্তমানে কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা ২০ হাজার ২২৭টি। তিনি জানান, দেশে মোট ৩২টি সরকারি, ৬৩টি বেসরকারি এবং আর্মফোর্সেস মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট ১০০টি মেডিকেল কলেজ চলমান। এসব মেডিকেল কলেজে ৭ হাজার ২০১টি এবং বাংলাদেশ আর্মি নিয়ন্ত্রিত ৬টি মেডিকেলে ৩৫০টি এমবিবিএস আসন আছে। অর্থাৎ মোট এমবিবিএস আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪৭টি।
বাংলাদেশে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়ার শিশুর হার বেশি
মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) প্রশ্নের লিখিত জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, বিশ্বে যে সব দেশে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়ার শিশুর হার বেশি, বাংলাদেশ তার অন্যতম। তা প্রতিরোধে বর্তমান সরকার ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ঘোষিত এ প্রমিজন রিনিউ-এ শিশু বেঁচে থাকার অধিকার সংরক্ষণে ১৩টি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য এবং নবজাতক কৌশল গ্রহণ করেছে। ক্যাঙারু মাদার কেয়ার (কেএমসি)- এ ১৩টি কৌশলগুলোর একটি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন